• ১০ আষাঢ় ১৪৩২, বৃহস্পতি ২৬ জুন ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

Ravi Shastri

খেলার দুনিয়া

গতির কামাল:‌ আইপিএল-এ চমক দিয়ে জাতীয় দলের অপেক্ষায় এই কাশ্মীরি তরুণ

গতবছর আইপিএলে বলের গতি দিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের উমরান মালিক। চলতি আইপিএলে প্রতি ম্যাচেই নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়ে চলেছেন। নিয়মিত বোলিং করছেন ঘন্টায় ১৫০ কিমি গতিতে। প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাপিয়ে যাচ্ছেন। ২০২২ আইপিএলে তাঁর দ্রুততম বলটির গতি ছিল ঘন্টায় ১৫৩.১ কিমি। যে বলটি চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে উমরান মালিকের হাত থেকে বেরিয়েছিল। সোমবার গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে তাকেও ছাপিয়ে গেছেন। এদিন তাঁর একটা বলের গতি ছিল ঘন্টায় ১৫৩.৩ কিমি।উমরান মালিকের বলে গতি দেখে মু্গ্ধ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। ভারতের প্রাক্তন হেড কোচ রবি শাস্ত্রী আগেই উমরানের বলের গতির প্রশংসা করেছিলেন। এবার জম্মু ও কাশ্মীরের এই তরুণ জোরে বোলারকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন। তিমি মনে করছেন। উমরান মালিক খুব দ্রুতই দেশের হয়ে খেলবেন। এমনকি এই তরুণ জোরে বোলারকে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার পরামর্শ দিয়েছেন মাইকেল ভন। মাইকেল ভন টুইট করে বলেছেন, উমরান মালিক খুব শীঘ্রই ভারতের হয়ে খেলবেন। আমি যদি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে থাকতাম, তাহলে এই গ্রীষ্মে উমরানকে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে পাঠাতাম। যাতে তার বোলিংয়ের উন্নতিতে সাহায্য করা যায়। এই মুহূর্তে আইপিএলে কমেন্ট্রি করছেন মাইকেল ভন। খুব কাছ থেকে উমরান মালিকের বোলিং দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। ভন মনে করছেন, অদূর ভবিষ্যতে ভারতীয় দলে জায়গা করে নেবেন জম্মু ও কাশ্মীরের এই তরুণ জোরে বোলার। শুধু মাইকেল ভনই নন, এর আগেই রবি শাস্ত্রীর মুখ থেকেও একই কথা শোনা গেছে। ভারতীয় দলে হেড কোচ থাকার সময় উমরান মালিককে খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন শাস্ত্রী। সেই সময় উমরান ভারতীয় দলে নেট বোলার হিসেবে ছিলেন। নেটে উমরান মালিকের বোলিং দেশে রবি শাস্ত্রী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও নির্বাচকদের পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁকে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাদেমিতে রাখার। যাতে উমরান নিজের দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে পারেন।গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে গতি দিয়ে দারুণ নজর কেড়েছেন উমরান মালিক। তাঁর প্রথম ডেলিভারিটি ছিল একটি বিষাক্ত বাউন্সার। যা হার্দিক পান্ডিয়ার হেলমেটে ছোবল মেরেছিল। গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক ম্যাচের পরে স্বীকার করেছিলেন যে, উমরানের ওই বাউন্সার তাঁকে তাতিয়ে দিয়েছিল। পরের দুটি বলে অবশ্য বাউন্ডারি মেরেছিলেন হার্দিক। দারুণ গতিতে বোলিং করলেও উমরানের সব থেকে বড় সমস্যা হল ধারাবাহিকতার অভাব। নির্দিষ্ট লেংথে বোলিং করতে পারেন না উমরান মালিক। যার ফলে তিনি অনেক বেশি রান দিয়ে ফেলেন। মালিকের ঈর্ষণীয় গতি ছাড়াও জোরে বোলার হিসেবে অনেক কিছু আছে। তাঁর শরীর আদর্শ ক্রীড়াবিদসুলভ। মসৃণ রান আপ। বোলিং অ্যাকশনও দারুণ। এসবই তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত। এই বছর আইপিএলের মেগা নিলামের আগে তাঁকে ধরে রেখে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ যে ভুল করেনি, প্রমান করেই চলেছেন উমরান মালিক।

এপ্রিল ১২, ২০২২
খেলার দুনিয়া

‌‌বিশ্বকাপ জেতেনি বলে কোহলি খারাপ ক্রিকেটার?‌ কী বললেন শাস্ত্রী

মহেন্দ্র সিং ধোনির হাত থেকে নেতৃত্বের আর্ম ব্যান্ড পাওয়ার পর ভারতীয় দলকে অন্য উচ্চতায় তুলে নিয়ে গিয়েছিলেন বিরাট কোহলি। লালবলের ক্রিকেটে তাঁর নেতৃত্বেই দীর্ঘদিন শীর্ষে ছিল ভারত। একদিনের ক্রিকেটেও দুর্দান্ত সাফল্য। তবে একটাই আক্ষেপ, কখনও আইসিসির প্রতিযোগিতায় দেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি। এরজন্য কোহলিকে অনেকেই হেয় প্রতিপন্ন করেছেন। বিশ্বকাপ জেতেননি বলে কোহলি খারাপ ক্রিকেটার, এমনটা মনে করছেন না রবি শাস্ত্রী। সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ভারতীয় দলের এই প্রাক্তন হেডস্যার বলেন, একজন ক্রিকেটারকে বিশ্বকাপ জয়ের মাপকাঠি দিয়ে বিচার করা উচিত নয়। দীর্ঘদিন ধরে সেই ক্রিকেটার কেমন খেলছে, আইকন হয়ে উঠেছে কিনা সেটা দেখতে হবে। অনেক বড় বড় ক্রিকেটারও বিশ্বকাপ জেতেনি। সৌরভ, কুম্বলে, দ্রাবিড়, লক্ষ্মণও তো বিশ্বকাপ জেতেনি। তাহলে এরা খারাপ ক্রিকেটার হয়ে গেল? বিশ্বকাপ জেতার জন্য শচীন তেন্ডুলকারকে ৬টি বিশ্বকাপ খেলতে হয়েছে। আমাদের দেশে মাত্র দুজন অধিনায়ক বিশ্বকাপ জিতেছে। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সাদা ও লালবলের ক্রিকেটে সিরিজ হারতে হয়েছে ভারতকে। ভারতের তুলনায় অনেক কম শক্তিশালী ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এইরকম দলের কাছে টেস্ট ও একদিনের সিরিজে পরাজয় অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। শাস্ত্রী অবশ্য মনে করছেন, এই হারে সমর্থকদের বিচলিত হওয়ার কিছু নেই। তিনি বলেন, ভারতের এই ব্যর্থতা সাময়িক। সব ম্যাচ কখনোই জেতা সম্ভব নয়। ৫ বছর ধরে ভারত বিশ্বের একনম্বর দল ছিল। সাফল্যের অনুপাত ৬৫ শতাংশ। হঠাৎ করে তাদের পারফরমেন্স নেমে যাবে? এই ব্যর্থতা কাটিয়ে খুব তাড়াতাড়ি ভারত ঘুরে দাঁড়াবে। গতবছরই টি২০ নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। পরে একদিনের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেন জাতীয় নির্বাচকরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ হারের পরের দিনই টেস্ট ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ান কোহলি। তাঁর এই সিদ্ধান্তকে সম্মান জানিয়েছেন রবি শাস্ত্রী। তিনি বলেন, নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত কোহলির ব্যক্তিগত ব্যাপার। ওর এই সিদ্ধান্তকে সবাইকে সম্মান জানাতেই হবে। সুনীল গাভাসকার, শচীন তেন্ডুলকার, মহেন্দ্র সিং ধোনির মতো অধিনায়করাও ব্যাটিংয়ে মনোযোগ দেওয়ার জন্য নেতৃত্ব ছেড়েছিল।

জানুয়ারি ২৫, ২০২২
খেলার দুনিয়া

Virat Kohli : একদিনের ম্যাচে কবে নেতৃত্ব ছাড়ছেন বিরাট কোহলি?‌ বড় ইঙ্গিত দিলেন রবি শাস্ত্রী

আগেই ঘোষণা করেছিলেন বিশ্বকাপের পরই টি২০ ক্রিকেটে দেশকে আর নেতৃত্ব দেবেন না। সেই মতো রোহিত শর্মার হাতে টি২০ দলের নেতৃত্ব তুলে দিয়েছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। একদিনের ম্যাচেও বিরাট কোহলির হাতে নেতৃত্ব থাকবে কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড তাঁকে সরিয়ে দেওয়ার আগেই সসম্মানে একদিনের ক্রিকেটের নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন বিরাট কোহলি। এমনই জানিয়েছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন হেড কোচ রবি শাস্ত্রী। পাশাপাশি টি২০ বিশ্বকাপে দেশের ব্যর্থতার জন্য ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে আবার কাঠগড়ায় তুলেছেন রবি শাস্ত্রী। সংবাদ মাদ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রী বলেছেন, দীর্ঘদিন জৈব সুরক্ষা থাকার ফলে ক্রিকেটাররা মানসিকভাবে ক্লান্ত ছিল। এটাই ব্যর্থতার মূল কারণ। ঠাসা ক্রীড়াসূচির কারণে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার টানা ৬ মাস বাড়ির বাইরে। এমন অনেক ক্রিকেটার রয়েছে, যারা তিন ধরণের ফরম্যাটেই নিয়মিত খেলেছে। ফলে সব মিলিয়ে বছরে ২৫ দিনের বেশি বাড়িতে কাটানোর সময় পায়নি। মানসিক ক্লান্তি নিয়ে সেরাটা দেওয়া যায় না। যেটা হয়েছিল পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড ম্যাচে। সব দেশের ক্রিকেট বোর্ডের উচিত, ক্রিকেটারদের মানসিক ক্লান্তির কথা মাথায় রেখে ক্রীড়াসূচি তৈরি করা। বিশ্বকাপে ভারতের ব্যর্থতার পর কপিলদেবও ঠাসা ক্রীড়াসূচি, সঠিক সূচি নির্ধারণের কথা বলেছিলেন। কপিলদেবের বক্তব্যকে সমর্থন করেছেন রবি শাস্ত্রী। শুধু ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সমালোচনা করেই থেমে থাকেননি রবি শাস্ত্রী। বিরাট কোহলির নেতৃত্ব নিয়েও বড় ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, বিরাট কোহলি খুব তাড়াতাড়িই একদিনের ক্রিকেটের নেতৃত্ব ছেড়ে দেবে। কোহলি টেস্ট ক্রিকেটের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। টেস্ট ক্রিকেটে নিজের কেরিয়ার আরও দীর্ঘায়িত করতে চায়। তাই টেস্ট ক্রিকেটে আরও ভালভাবে মনোনিবেশ করার জন্য একদিনের ক্রিকেটেও নেতৃত্ব ছেড়ে দেবে। তবে কবে কোহলি একদিনের ক্রিকেটের নেতৃত্ব ছেড়ে দেবেন, সে বিষয়ে খোলসা করে কিছু বলেননি রবি শাস্ত্রী। সামনের বছর জানুয়ারিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ খেলবে ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে একদিনের সিরিজ খেলে নেতৃত্ব ছাড়তে পারেন কোহলি।

নভেম্বর ১২, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup: হেড স্যার হিসেবে শেষ দিনে শাস্ত্রী ব্যর্থতার জন্য কেন দুষলেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে?‌

অবশেষে দীর্ঘ পথের যাত্রার সমাপ্তি। আর কয়েক ঘন্টার মধ্যে গায়ে সেঁটে যাব প্রাক্তনের ট্যাগ। ভারতীয় দলের হেড স্যার হিসেবে সোমবারই শেষদিন রবি শাস্ত্রীর। দুদফার কার্যকালে দেশকে সাফল্য এনে দিতে পারেননি। সে সীমিত ওভারের ক্রিকেটেই বলুন, কিংবা টি২০ ক্রিকেটে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপেও ব্যর্থতা। মেয়াদ শেষ হওয়ার দিনে আবেগপ্রবণ রবি শাস্ত্রী। ভারতীয় দলের হেড কোচ হিসেবে সোমবার টি২০ বিশ্বকাপে নামিবিয়া ম্যাচই ছিল শেষ ম্যাচ। খেলা শুরুর আগে রবি শাস্ত্রী বলেন, ভারতীয় দলের কোচ হিসেবে আমার কাছে এই যাত্রাটা অসাধারণ। যখন ভারতীয় দলের দায়িত্ব নিয়েছিলাম, আমি নিজেকে মনে মনে বলেছিলাম, পার্থক্য করতে চাই। আমার মনে হয় কাজটি আমি করতে সক্ষম হয়েছি। জীবনে কখনও কখনও সবকিছু অর্জন করা সম্ভব হয়না। তা সত্ত্বেও এই ছেলেরা গত ৫ বছরে যা অর্জন করেছে, যেভাবে বিশ্বজুড়ে খেলে বেড়িয়েছে, এবং সব ধরণের ফর্ম্যাটে যেভাবে পারফর্ম করেছে, তাতে বিশ্বে দুর্দান্ত দল হিসেবে নিজেদের প্রতিপন্ন করেছে। এ বিষয়ে আমার মনে কোনও সন্দেহ নেই। তবে এটা দুর্ভাগ্যজনক যে, আমরা এই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেছি। এই ব্যর্থতা দুর্দান্ত ভারতীয় দলের কাছ থেকে কিছু নিয়ে যায়নি। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ব্যর্থতা সঙ্গী হলেও টেস্ট ক্রিকেটে নিজের দলকে এগিয়ে রেখেছেন রবি শাস্ত্রী। তিনি বলেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা, অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে লাল বলের ক্রিকেটে সিরিজ জিতে আমরা এগিয়ে আছি। এই এগিয়ে থাকাটা আমরা দীর্ঘদিন ধরে রাখতে পারব। কারণ ওদের বিরুদ্ধে আবার পরের বছর সিরিজ খেলব। সাদা বলের ক্রিকেটে প্রতিটি দলকে তাদের ঘরের মাঠে পরাজিত করেছি, যা আমার প্রচেষ্টা এবং দলের প্রচেষ্টা ছিল।এই দলটা দেখিয়েছে যে তাদের আরও অনেক দক্ষতা রয়েছে। ২০১৭ সালে পাকিস্তানের কাছে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত পরাজিত হওয়ার পর হেড কোচ নিযুক্ত হন রবি শাস্ত্রী। বিদেশের মাটিতে সাফল্য থেকে এক নম্বর টেস্ট দল হওয়ার লক্ষ্যপূরণ হলেও কোহলিশাস্ত্রী জুটি ভারতকে কোনও আইসিসি ইভেন্টে চ্যাম্পিয়ন করাতে পারেনি।রবি শাস্ত্রীর উত্তরাধিকারী হিসেবে দায়িত্ব নিচ্ছেন রাহুল দ্রাবিড়। উত্তরসূরীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শাস্ত্রী। তিনি বলেন, ভারতীয় দল একজন ভাল কোচ পাচ্ছে। দ্রাবিড়কে অনেক অনেক শুভেচ্ছা। আমি মনে করি অভিজ্ঞতা দিয়ে দ্রাবিড় সময়মতো সেরাটা বার করে নিয়ে আসবে। এই দলে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার রয়েচে যারা আরও ৩৪ বছর খেলবে। ভারতের এই দলটা রূপান্তরিত দল নয়। এটাই বড় পার্থক্য তৈরি করবে। কোহলিই এখনও দলে রয়েছে। অধিনায়ক হিসেবে দারুণ কাজ করেছে। গত ৫ বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেটে সবথেকে বড় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। যেভাবে দলকে খেলাতে চায় এবং গোটা দল যেভাবে তাকে আঁকড়ে ধরেছে, দল সম্পর্কে যেভাবে চিন্তা করে, তার জন্য অনেক কৃতিত্ব দিতে হবে। বিশ্বকাপে ব্যর্থতা প্রসঙ্গে শাস্ত্রী বলেন, আমি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আর সেটা আমার বয়সের কারণে। দীর্ঘ ৬ মাস বায়ো বাবলে থেকে এই দলের ক্রিকেটাররাও শারীরিক এবং মানসিকভাবে বিপর্যস্ত। আইপিএল এবং বিশ্বকাপের মধ্যে একটা বড় ব্যবধান থাকলে ভাল হত। যখন কোনও বড় প্রতিযোগিতা আসে, চাপ তৈরি হয়, তখন পরিবর্তনের দরকার হয়। তবে বিশ্বকাপে ব্যর্থতার জন্য এটা কোনও অজুহাত হতে পারে না। আমরা হারকে মেনে নিতে পারি, কারণ হারতে ভয় পাই না। আমরা জেতার চেষ্টা করেও পারিনি, কারণ এক্সফ্যাক্টর অনুপস্থিত ছিল। তবে এটা কোনও অজুহাত হতে পারে না।

নভেম্বর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

T20 World Cup : ‌কোহলি–শাস্ত্রী জুটির পরিসমাপ্তি, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক পরিসংখ্যান

টি২০ ক্রিকেটে ভারতীয় দলের আর্ম ব্যান্ড হাতে আর মাঠে নেতৃত্ব দিতে দেখা যাবে না বিরাট কোহলিকে। বিশ্বকাপে নামিবিয়ার বিরুদ্ধে ক্যাপ্টেন হিসেবে কোহলির ছিল শেষ ম্যাচ। কোচ হিসেবে রবি শাস্ত্রীরও এটাই ছিল শেষ ম্যাচ। শাস্ত্রীকোহলি জুটির সেরা সাফল্য ইংল্যান্ডের মাটিতে ও অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে টেস্ট সিরিজ জয়। তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়াকে তাদের ঘরের মাটেতে দুদুবার টেস্ট সিরিজে হারিয়েছে ভারত। তবে আসল জায়গায় ব্যর্থ। আইসিসির কোনও প্রতিযোগিতায় দেশকে চ্যাম্পিয়ন করতে পারেনি এই জুটি। এক ঝলকে দেখে নেওয়া যাক অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলি ও কোচ রবি শাস্ত্রীর পরিসংখ্যান। ২০১৭ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাত থেকে টি২০ ক্রিকেটে দেশের দায়িত্ব তুলে নেন বিরাট কোহলি। তারপর থেকে তিনি দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ৫০টি টি২০ ম্যাচে। সোমবার বিশ্বকাপে নামিবিয়ার বিরুদ্ধেই কোহলির ছিল অধিনায়ক হিসেবে ৫০ তম ম্যাচ। ৫০ তম ম্যাচে দলকে জয় এনে দিলেও বিশ্বকাপে ব্যর্থতার তকমা গায়ে সেঁটেই নেতৃত্ব থেকে সরে যেতে হল কোহলিকে। দেশকে ৫০টি টি২০ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়ে ৩০টিতে জয় এনে দিয়েছেন কোহলি। হেরেছেন ১৬টিতে। ২টি ম্যাচ টাই হয়েছে। আর ২টি ম্যাচ পরিত্যক্ত হয়েছে। কোহলির পূর্বসূরী মহেন্দ্র সিং ধোনি দেশকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ৭২ ম্যাচে। জিতেছিলেন ৪১টি ম্যাচ। ২৮টি ম্যাচে হারতে হয়েছিল। ১ট ম্যাচ টাই, ২টি ম্যাচে কোনও ফলাফল হয়নি। অধিনায়ক হিসেবে বিরাট কোহলি ৫০টি টি২০ ম্যাচে রান করেছেন ১৫৭০। নামিবিয়ার বিরুদ্ধে অধিনায়ক হিসেবে জীবনের শেষ টি২০ ম্যাচে ব্যাট হাতে মাঠে নামেননি কোহলি। টি২০ ক্রিকেটে সর্বাধিক রান সংগ্রহকারী অধিনায়কদের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছেন তিনি। তবে অধিনায়ক হিসেবে দ্রুততম ১ হাজার টি২০ রানের মালিক বিরাট কোহলি। মাত্র ৩০টি ইনিংসে তিনি এই মাইলস্টোনে পৌঁছেছিলেন। অধিনায়ক হিসেবে সর্বাধিক হাফ সেঞ্চুরির মালিক ছিলেন কোহলি। এই বিশ্বকাপে তাঁকে টপকে গেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম, অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ ও নিউজিল্যানন্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। পাকিস্তান, বাংলাদেশ বাদে সব টেস্ট খেলিয়ে দেশের বিরুদ্ধে টি২০ সিরিজ জেতারও নজির রয়েছে বিরাট কোহলির। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আর জুটি হিসেবে দেখা যাবে না অধিনায়ক বিরাট কোহলি ও কোচ রবি শাস্ত্রীকে। কোচ হিসেবে শাস্ত্রীর জমানায় ভারত ৪৩টি টেস্ট খেলেছে। জিতেছে ২৫টি এবং হেরেছে ১৩টিতে। একদিনের ক্রিকেটে ৭৬টি ম্যাচের মধ্যে ভারত জিতেছে ৫১টিতে, হেরেছে ২২টি। টি২০ ক্রিকেটে ৬৪টি ম্যাচে ভারতকে কোচিং করিয়েছেন শাস্ত্রী। জয় এসেছে ৪২টিতে এবং হার ১৮টিতে।

নভেম্বর ০৯, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Ravi Shastri : রবি শাস্ত্রীর দাবি, সঠিক সময়েই দায়িত্ব ছেড়ে যাচ্ছেন

এবছর টি২০ বিশ্বকাপের পরই ভারতীয় দলের হেড কোচ রবি শাস্ত্রীর কার্যকালের মেয়াদ শেষ। তাঁর হাতে আর নতুন করে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার কথাও ভাবছে না ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। বিরাট কোহলিদের হেড স্যারের দায়িত্ব অনিল কুম্বলের হাতে দেওয়ার ভাবনাচিন্তাও শুরু করেছেন বোর্ড কর্তারা। রবি শাস্ত্রীর দাবি, তিনি বোর্ডকে আগেই জানিয়েছিলেন বিশ্বকাপের পর আর কোচিং করাতে চান না। সঠিক সময়েই ছেড়ে যাচ্ছেন বলে মনে করছেন রবি শাস্ত্রী। কোচ হিসেবে যা যা চেয়েছিলেন সবকিছুই পেয়েছেন বলে বলে দাবি করেছেন তিনি।সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শাস্ত্রী বলেছেন, আমি যা যা চেয়েছি, সবই পেয়েছি। ৫ বছর ধরে টেস্ট ক্রিকেটে ১ নম্বর। অস্ট্রেলিয়ায় দুবার সিরিজ জিতেছি, ইংল্যান্ডেও সিরিজ জিতেছি। কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে ওদের হারানো, ইংল্যান্ডকে হারানো, এ সবের চেয়ে বড় প্রাপ্তি আমার কাছে কিছু হতে পারে না। ইংল্যান্ডে টেস্ট সিরিজে আমরা ২১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছি। লর্ডস ও ওভালে যেভাবে খেলেছি সত্যিই দুর্দান্ত। তিনি আরও বলেছেন, সাদা বলের ক্রিকেটেও প্রতিটি দেশে গিয়ে তাদের সিরিজ হারিয়ে এসেছি। টি২০ বিশ্বকাপ জিতলে সেটা অসাধারণ ব্যাপার হবে। এর থেকে বেশি কিছু চাই না। ভারতীয় বোর্ড কর্তারা তাঁকে আর হেড কোচের দয়িত্বে চাইছেন না। নিজের ভবিষ্যত বুঝে গেছেন শাস্ত্রী। তাই সম্মান নিয়েই সরে দাঁড়াচ্ছেন। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি একটা কথা বিশ্বাস করি, যেখানে তোমাকে কেউ স্বাগত জানাবে না সেখানে মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পর থাকা ঠিক নয়। দায়িত্ব যখন ছাড়তে চলেছি, প্রত্যাশার চেয়ে বেশি কিছু পেয়েই দায়িত্ব ছাড়ছি। কোভিডের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে টেস্ট সিরিজ জেতা, ইংল্যান্ডে এগিয়ে থাকা আমার কাছে ভারতীয় ক্রিকেটে কাটানো চার দশকে সবচেয়ে তৃপ্তিদায়ক মুহূর্ত।ভারতীয় দলে করোনা সংক্রমণের জন্য তাঁর বই প্রকাশ অনুষ্ঠানকে দায়ী করা হলেও মানতে নারাজ শাস্ত্রী। বলেন, ওই অনুষ্ঠানে যাওয়া নিয়ে আমার কোনও আক্ষেপ নেই। হোটেলের ঘরে আবদ্ধ না থেকে ক্রিকেটাররাও যে কিছু মানুষের সঙ্গে সাক্ষাত করতে পেরেছিলেন সেটাও খুব ভালো দিক। ওভাল টেস্টে যে সিঁড়ি ক্রিকেটারদের ব্যবহার করতে হয়েছে সেটা আরও ৫ হাজার মানুষ ব্যবহার করেছেন। তাহলে শুধু বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের দিকেই তাহলে কেন আঙুল তোলা হবে? ওই অনুষ্ঠানে ২৫০র মতো মানুষ উপস্থিত ছিলেন, তাঁদের কারও তো কোভিড হয়নি। বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের জন্য আমার করোনা হয়নি। কেন না, ৩১ অগাস্ট ছিল বই প্রকাশ অনুষ্ঠান। আমার করোনা ধরা পড়ে ৩ সেপ্টেম্বর। আমার ধারণা, লিডসেই করোনা ভাইরাসের কবলে পড়ি। ১৯ জুলাই থেকে ইংল্যান্ডে সমস্ত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়া হয়। হোটেল, লিফট সব কিছু স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসে। কোনও বিধিনিষেধই ছিল না।

সেপ্টেম্বর ১৮, ২০২১
খেলার দুনিয়া

Kohli and Shastri : শাস্ত্রী ও কোহলির ওপর অসন্তুষ্ট বোর্ড, চাওয়া হবে কৈফিয়ত

জৈব সুরক্ষা বলয়ে থাকা সত্ত্বেও রবি শাস্ত্রীসহ তিন সাপোর্ট স্টাফ কীভাবে করোনায় আক্রান্ত হলেন, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অনেকেই মনে করছেন, বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। কেউ কেউ মনে করছেন হোটেলের লিফটে চলাচলের সময় আক্রান্ত হয়ে থাকতে পারেন। তবে যেখানেই আক্রান্ত হোন না কেন, রবি শাস্ত্রী, বিরাট কোহলিদের ওপর বেজায় চটেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। কেন বোর্ডের অনুমতি ছাড়া অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন, তার কৈফিয়ত চাওয়া হবে। বোর্ডের এক শীর্ষ কর্তা বলেছেন, ওই বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের ছবি ভারতীয় বোর্ড কর্তাদের কাছে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় বোর্ডের মুখ পুড়েছে। ওভালের ওই ঘটনার জন্য কোচ ও অধিনায়ককে প্রশ্ন করা হবে। লন্ডনের যে হোটলে ভারতীয় দল রয়েছে, সেখানেই গত মঙ্গলবার রবি শাস্ত্রীর নিজের বই প্রকাশ অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে বাইরের অনেক অতিথি হাজির ছিলেন। অনেকেই মনে করছেন, সেই অনুষ্ঠান থেকেই কোনও ভাবে সংক্রমিত হয়ে থাকতে পারেন ভারতীয় দলের হেড কোচ। শাস্ত্রীর সঙ্গে ভারতীয় দলের আরও যাঁরা কোভিডে আক্রান্ত হয়েছেন, সেই বোলিং কোচ ভরত অরুণ, ফিল্ডিং কোচ আর শ্রীধর এবং ফিজিয়ও নীতিন প্যাটেলও ওই অনুষ্ঠানে ছিলেন।হোটেলে বই প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রচুর মানুষের ভিড় ছিল। শাস্ত্রীর সঙ্গে মঞ্চে উঠেছিলেন কোহলি। অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য কেউই ভারতীয় বোর্ডের অনুমতি নেননি। দুজনের কাছেই কৈফিয়ত চাওয়া হবে বলে বোর্ডের একটা সূত্র থেকে জানা গেছে। দলের প্রশাসনিক ম্যানেজার গিরিশ ডোংরের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। বই প্রকাশ অনুষ্ঠানটি কোনও বোর্ডেরই অনুমোদিত ছিল না।এদিকে, আজই লন্ডন থেকে ম্যাঞ্চেস্টারে পৌঁছে গেল ভারতীয় দল। রবি শাস্ত্রীসহ ৩ সাপোর্ট স্টাফ লন্ডনের হোটেলেই আইসোলেশনে রয়েছেন। ট্রেনে চড়ে ম্যাঞ্চেস্টার সফরের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন ঋদ্ধিমান সাহা। সিরিজ জয়ের হাতছানি ভারতের সামনে। শুক্রবার ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে শুরু পঞ্চম তথা শেষ টেস্ট।

সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২১
খেলার দুনিয়া

‌‌Ravi Shastri : ম্যাঞ্চেস্টারে অভিভাবকহীন হয়ে পড়লেন বিরাট কোহলিরা

তাঁর ল্যাটেরাল ফ্লো টেস্টের রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। আরটিপিসিআর পরীক্ষার রিপোর্টও পজিটিভ এসেছে। ফলে দলের সঙ্গে ম্যাঞ্চেস্টার যেতে পারবেন না ভারতীয় দলের হেড কোচ রবি শাস্ত্রী। শুধু শাস্ত্রী নন, বোলিং কোচ ভরত অরুণ, ফিল্ডিং কোচ আর শ্রী ধরের করোনা পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। কেউই ম্যাঞ্চেস্টার যেতে পারবেন না। পলে পঞ্চম টেস্টে অভিভাবকহীন হয়ে পড়লেন বিরাট কোহলিরা। হেড কোচ রবি শাস্ত্রীকে ছাড়াই সিরিজ নির্ণায়ক টেস্ট খেলতে নামতে হবে ভারতকে।আরও পড়ুনঃ মুখ্যমন্ত্রীকেই জেতাতেই কী ভবানীপুরে উপনির্বাচন?প্রশ্ন তুললেন দিলীপউইকেটকিপার ঋষভ পন্থ করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর থেকে ভারতীয় শিবিরে নিয়মিত ল্যাটেরাল ফ্লো পরীক্ষার রীতি চালু হয়েছে। সব ক্রিকেটারকে কিট দেওয়া হয়। প্রেগনেন্সি টেস্টের মতো নিজে নিজেই এই পরীক্ষা করা যায়। এই পরীক্ষার রিপোর্ট পজিটিভ এলে তারপর আরটিপিসিআর পরীক্ষা করা হয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য। শাস্ত্রীর দুবার ল্যাটেরাল ফ্লো পরীক্ষা হয়েছিল। দুটি রিপোর্টই পজিটিভ আসে। তারপরই আরটিপিসিআর টেস্ট করা হয়। সেই রিপোর্টেও পজিটিভ এসেছে। বোলিং কোচ ভরত অরুণ, ফিল্ডিং কোচ আর শ্রী ধরের আরটিপিসিআর টেস্টের রিপোর্টও পজিটিভ। তিনজনকেই ১০ দিন লন্ডনে হোটেলে আইসোলেশনে থাকতে হবে। ফলে ম্যাঞ্চেস্টার যেতে পারবেন না এই ৩ সাপোর্ট স্টাফ। মঙ্গলবারই ভারতীয় দলের ম্যাঞ্চেস্টার যাওয়ার কথা।আরও পড়ুনঃ শার্দুল, ঋষভের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে জয়ের স্বপ্ন ভারতেররবি শাস্ত্রীর সংস্পর্শে আসা নীতিন প্যাটেলের আরটিপিসিআর টেস্টের রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও তাঁকে ম্যাঞ্চেস্টার নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের একটি সূত্র জানিয়েছে, শাস্ত্রীর হালকা গলা ব্যথা রয়েছে। করোনার মৃদু উপসর্গও রয়েছে। বাকিদের কোনও উপসর্গ নেই। নীতিন প্যাটেলের রিপোর্ট নেগেটিভ এলেও ওকে ম্যাঞ্চেস্টার নিয়ে যাওয়া হবে না। এটা আগে থেকেই ঠিক ছিল। ব্যাটিইং কোচ বিক্রম রাঠোরই ম্যাঞ্চেস্টারে দায়িত্ব সামলবে। ম্যাঞ্চেস্টারে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে ক্রিকেটারদের জন্য আলাদা বায়ো বাবল তৈরি করা হবে।আরও পড়ুনঃ লাইনে হুড়োহুড়ি নয়, এই জেলায় বাড়িতে বসেই মিলবে কোভিড-টিকার কুপনভারতীয় দলের প্রত্যেকেই করোনা ভ্যাকসিনের দুটি করে ডোজ নিয়েছেন। তারপরও শাস্ত্রী কীভাবে করোনার কবলে পড়লেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মনে করা হচ্ছে, টিম হোটেলে ওভাল টেস্ট শুরুর আগের দিন রবি শাস্ত্রীর বই প্রকাশ অনুষ্ঠান ছিল। সেখানে বাইরের অনেক অতিথিই এসেছিলেন, তাঁরা শাস্ত্রীর কাছাকাছিও পৌঁছে কথা বলেছিলেন। ওই অনুষ্ঠানে ভরত অরুণ, শ্রীধর ও প্যাটেল শাস্ত্রীর কাছাকাছিই ছিলেন। ওই অনুষ্ঠান থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়ে থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।

সেপ্টেম্বর ০৬, ২০২১

ট্রেন্ডিং

রাজ্য

পর্যটনে জোর, পূর্ব বর্ধমান জেলার পর্যটন কেন্দ্রগুলি তুলে ধরতে শিবির

পর্যটন শিল্পকে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে একাধিক উদ্যোগ নিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। দেশি-বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণ করতে আধুনিক পরিকাঠামো, উন্নত যোগাযোগ ব্যবস্থা এবং স্থানীয় সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রচারে ঢালাও জোর দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে শুধু রাজস্ব বৃদ্ধিই নয়, বাড়ছে স্থানীয় মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগও। রাজ্য সরকারের সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ও নানা উদ্যোগ নিচ্ছে পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে।পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন দুদিনের প্রশিক্ষণ শিবিরের আয়োজন করল। বৃহস্পতি ও শুক্রবার জেলার সদরে নিউ কালেক্টর বিল্ডিংর রাসবিহারী সভাকক্ষে এই শিবিরে যোগ দেন পূর্ব বর্ধমান ও পশ্চিম বর্ধমান পর্যটন আধিকারিক ও পর্যটন ব্যবসায়ীরা। বাংলার পর্যটন মানচিত্রে অবিভক্ত বর্ধমানের বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রগুলির প্রচার ও প্রসার করতেই এই আয়োজন বলে জানানো হয়। শিবিরে যোগদান করেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পর্যটন বিভাগের অধ্যাপক মীর আব্দুল শফিক, দিলীপকুমার দাস, পূর্ব বর্ধমান জেলার অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং (আইএএস)।দুদিনের শিবিরে পর্যটন ব্যবসায়ীদের সঙ্গে জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘিরে সার্কিট ট্যুরিজমের পরিকল্পনা নিয়ে বিশদে আলোচনা হয়। এছাড়াও বাঁকুড়া, বীরভুম, পশ্চিম বর্ধমান, নদীয়ার মত লাগোয়া জেলাগুলির পর্যটন কেন্দ্রগুলির সঙ্গেও পূর্ব বর্ধমানকে কি ভাবে জোড়া যেতে পারে সে বিষয়ে আলোচনা হয়। পৌরানিক মত অনুযায়ী সারা দেশের যে সতীর ৫১টি বা ৫২টি মূল শক্তিপীঠের তালিকা পাওয়া যায় তাতে পূর্ব বর্ধমানের একাধিক শক্তিপীঠ আছে। এছাড়াও অম্বিকা কালনা ও বর্ধমান শহরে দুটি ১০৮ শিব মন্দির, বিজয় তোড়ণ (কার্জন গেট), শের আফগান, কুতুবুদ্দিন ও নুরজাহানের সমাধির মতো ঐতিহাসিক স্থানও রয়েছে। অতিরিক্ত জেলাশাসক (শিক্ষা) প্রতীক সিং বলেন, জেলায় এতিহাসিক গুরুত্বের অনেক পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে। সেগুলি সংস্কারে উদ্যোগ করা হয়েছে। ব্যবসায়ীদেরও পর্যটনে শিল্পে উৎসাহ দেওয়া হয়েছে।পশ্চিমবঙ্গের পর্যটন শিল্পে নতুন জোয়ার এনেছে রাজ্য সরকার ও বেসরকারি উদ্যোগ। পর্যটকদের আকৃষ্ট করতে পাহাড়, সমুদ্র, অরণ্য ও ঐতিহাসিক স্থানের আধুনিকীকরণ থেকে শুরু করে পরিবেশবান্ধব পর্যটনের উপরও বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। এর পাশাপাশি রাজ্যের সংস্কৃতি, হস্তশিল্প এবং লোকসংগীতকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে নেওয়া হয়েছে একাধিক পদক্ষেপ। পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন জেলার পর্যটন শিল্পকে তুলে ধরতে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও তৈরি করেছে।রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন জানিয়েছেন, পর্যটন শুধু অর্থনীতির চাকা ঘোরায় না, এটি স্থানীয় সংস্কৃতি ও পরিচয়কে তুলে ধরার অন্যতম মাধ্যম। তাই আমরা একাধারে পরিকাঠামো উন্নয়ন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের যুক্ত করে পর্যটনের প্রসারে কাজ করছি।বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে গাইড প্রশিক্ষণ, হোমস্টে উন্নয়ন এবং পরিবেশবান্ধব পর্যটনের দিকে মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। উত্তরবঙ্গ, সুন্দরবন, দার্জিলিং, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, বীরভুম সর্বত্র পর্যটনের নবজাগরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড. শিবকালি গুপ্ত জনতার কথাকে জানান, পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে সাহায্য করে। এটা যেমন কিছু মানুষের বিনোদন আবার বহু মানুষের জীবিকাতে বিরাট প্রভাব ফেলে। তিনি আরও জানান, আগে প্রত্যন্ত গ্রামে পর্যটক সেভাবে আসত না, এখন বহু বিদেশি পর্যটকও প্রত্যন্ত গ্রামে ভ্রমন করেন। তাঁরা হস্তশিল্প কিনছেন, খাবার খাচ্ছেন। সাথে গ্রামীন অর্থনীতিতে জোয়াড় আনতে সাহায্য করছেন। তিনি আরও বলেন, আমাদের জেলায় পর্যটন অকর্ষনের অভাব নেই, জেলাকে ঘিরে আছে তিন তিনটে নদী (দামদর, ভাগীরথী, অজয়)। বিস্তীর্ন বনাঞ্চল, ঐতিহাসিক স্থাপত্য, হস্তশিল্প, লোকশিল্প। বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের শম্ভুনাথ কলেজের ভুগোলের অধ্যাপক ড. কুনাল চক্রবর্তী বলেন, কেন্দ্র ও রাজ্য সরকার পর্যটন শিল্পে উৎসাহ দিতে নানাবিধ প্রকল্প ঘোষনা করছে। রাজ্য সরকার Experience Bengal ডিজিটাল ক্যাম্পেইন চালাচ্ছে। এতে বিভিন্ন সনামধন্য পর্যটন কেন্দ্রের সাথে সাথে বহু গ্রামীন পর্যটন কেন্দ্রেও মানুষের আনাগোনা বেড়েছে। তাঁর মতে পর্যটনের বিকাশ সরাসরি হোটেল, রেস্তোরাঁ, পরিবহন, হস্তশিল্প ও সংস্কৃতির সঙ্গে জড়িত বহু মানুষের জীবিকায় ইতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তিনি বলেন, এই ধারা বজায় থাকলে আগামী পাঁচ বছরে বাংলার পর্যটন শিল্প দেশের অন্যতম বড় আয়ের উৎস হয়ে উঠবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

পূর্ব বর্ধমানের প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিলের রান্নায় বিভেদ, হিন্দু-মুসলিমদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা

এই বাংলার স্কুলেও যে এমন বিভাজন রয়েছে প্রাথমিক স্কুলে তা জানা ছিল প্রশাসনেরও। প্রাথমিক স্কুলের মিড ডে মিলে হিন্দু, মুসলিম ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য় পৃথক ব্যবস্থা। এখানে মিড-ডে মিলের হেঁসেল,রাঁধুনি ও রান্না করা খাবার। এই ঘটনা জানাজানি হতেই রাজ্যে তুমুল শোরগোল পড়ে গিয়েছে। নডেচড়ে বসেছে জেলা ও ব্লক প্রশাসন, স্থানীয় পঞ্চায়েত এবং প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। জেলাশাসক আয়েষা রাণী এই ঘটনা জেনে প্রশাসনিক তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছেন মহকুমা শাসকের কাছে।পূর্বস্থলীর প্রাথমিক স্কুলে মিড ডে মিল রান্নার দুজন আলাদা ধর্মাবলম্বী রাঁধুনি। পূর্বস্থলীর নাদনঘাটে কিশোরীগঞ্জ-মনমোহনপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রাক প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত পড়ুয়া সংখ্যা ৭২ জন। শিক্ষক ও শিক্ষিকা মিলিয়ে রয়েছেন চারজন। হিন্দু ও মুসলিম, উভয় সম্প্রদায়ের পরিবারের ছেলে মেয়েরা এই স্কুলের শ্রেণীকক্ষে একসাথে বসে শিক্ষকের কাছে পাঠ নেয়।স্কলের প্রধান শিক্ষক তাপস ঘোষ চেষ্টা করেও এই ব্য়বস্থা বন্ধ করতে পারেননি। স্কুলের রাঁধুনিদের একজন হিন্দু ,অপর জন মুসলিম । তাঁরাই জানিয়েছেন,বিদ্যালয়ে মড-ডে মিল রান্নার হেঁসেল আলাদা। হিন্দু রাঁধুনি সোনালী মজুমদার আলাদা গ্যাসের উনানে রান্না করনেন হিন্দু পরিবারের পড়ুয়াদের মিড- ডে মিল। আর অপর গ্যাসের উনানে মুসলিম রাঁধুনি গেনো বিবি রান্না করেন মুসলিম পরিবারের পড়ুয়াদের মিড -ডে মিল। শুধু আলাদা আলাদা ভাবে রান্না করাই নয়,হেসেলে দুই সম্প্রদায়ের পড়ুয়াদের মিড-ডে মিল রান্নার উপকরণ থেকে শুরু করে বাসনপত্র ,হাঁড়ি-কড়াই,খুন্তি -সেসবও আলাদা আলাদা রয়েছে। এমনকি হিন্দু ও মুসলিম সম্প্রদায়ের ৪৩ ও ২৯ জন পড়ুয়াকে মিড- ডে মিল খাওয়ানোও হয় আলাদা আলাদা স্থানে বসিয়ে। আজ থেকে ওই স্কুলে একসঙ্গে রান্না ও খাওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।

জুন ২৫, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কৌশিক যেন কামিন্দু! আইপিএলে দেখছেন ক্লার্ক

কৌশিক মাইতি যা পারেন তা তিনিও পারেন না। বক্তা অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ক্লার্ক। ডব্লিউটিসি ফাইনাল বা ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজ নয়, ক্লার্ক রয়েছেন ইডেনের কমেন্ট্রি বক্সে। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের আসরে। সে প্রসঙ্গে পরে আসছি। আগে তুলে ধরি কৌশিকে ক্লার্কের মুগ্ধতার কথা।কৌশিক মাইতি। দুই হাতেই বল করতে ও ঘোরাতে পারেন। এমনিতে ডানহাতি। তবে বাঁ হাতে ঠিক তেমন বোলিং অ্যাকশন দেখে অভিভূত ক্লার্ক। দোভাষী শ্রীবৎস গোস্বামীকে নিয়ে ক্লার্ক কথা বললেন কৌশিকের সঙ্গে। আরও পরিশ্রমের পরামর্শ দিয়ে বললেন, কৌশিক আইপিএলে খেলবেন। তাঁকে কেউ না নিলে অবাকই হবেন। স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়রা যে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ চালু করেছেন তার সার্থকতার অন্যতম উদাহরণ ক্লার্ক-কৌশিক কথোপকথন। উল্লেখ্য, আইপিএলের ইতিহাসে দু-হাতেই বল করতে পারেন এমন একমাত্র ambidextrous বোলার কামিন্দু মেন্ডিস। শ্রীলঙ্কার এই প্লেয়ার আছেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। ক্লার্কের ভবিষ্যদ্বাণী মিললে, কৌশিক ভারতের প্রথম ambidextrous বোলার হিসেবে আইপিএলে জায়গা করে নিতেই পারেন, যার মঞ্চ হবে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগ।না, ইডেনে ৫০-৬০ হাজার লোক এই লিগ দেখতে আসবেন সেই ভাবনা নিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু হয়নি। দর্শক সব সময় স্বাগত, ইডেনের দ্বার অবারিত, বিনামূল্যে খেলা দেখার বন্দোবস্ত করেছে সিএবি। কিন্ত স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এই লিগ চালু করেছেন বেশ কিছু লক্ষ্য সামনে রেখে। যার প্রথম হলো, বাংলার প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের নিজেদের প্রতিভা মেলে ধরার সুযোগ করে দেওয়া। ফ্র্যাঞ্চাইজি টুর্নামেন্টের আবহের মধ্যে থেকে।এই লিগকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্টার স্পোর্টস ও ফ্যানকোডে সম্প্রচার। দুর্ধর্ষ কমেন্ট্রি টিম। মাইকেল ক্লার্ক, ঝুলন গোস্বামী, মহম্মদ কাইফ, মন্টি পানেসর, চেতন শর্মা, নিখিল চোপড়া, রোহন গাভাসকর, অশোক মালহোত্রারা রয়েছেন। সঞ্চালিকাদের মধ্যে আছেন ম্যাথু হেডেনের কন্যাও। না, দেশের আর কোথাও টি২০ লিগে এমন তারকাখচিত কমেন্ট্রি টিম নেই। এর আরেকটি কারণ, তারকাদের কাছ থেকে প্রয়োজনে মূল্যবান টিপস নিয়ে সমৃদ্ধ করার সুযোগ পাচ্ছেন ক্রিকেটাররা। যে উৎসাহ কৌশিক ক্লার্কের কাছ থেকে পেলেন, তা ইডেনের প্রতিটি আসন ভর্তি থাকলেও হতো না!আইপিএল বা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিয়ম ভাঙলে যেমন শাস্তির বিধান আছে তা আছে বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগেও। ক্রিকেটার বা কোচিং স্টাফদের ম্যাচ সাসপেনশন বা জরিমানা হচ্ছে। দেখা হচ্ছে না কোন নাম কত বড়। এই লিগে এমন ব্যবস্থাপনায় ক্রিকেটাররা খেলার স্পিরিট, শৃঙ্খলার বিষয়ে সজাগ থাকবেন, যাতে বড় মঞ্চে গিয়ে মানিয়ে নিতে অসুবিধা না হয়। হক আই টেকনোলজি-সহ ডিআরএস রয়েছে। এতে আম্পায়ারিংয়ের মানের উন্নতি হতে বাধ্য, হচ্ছেও। আগেরবারের তুলনায় এবার টুর্নামেন্ট এগোচ্ছে মসৃণভাবে। যেভাবে বৃষ্টি হচ্ছে তাতে খেলা চালানো যাচ্ছে মাঠ ঢেকে রাখা-সহ সিএবির উন্নতমানের পরিকাঠামোর জন্যেই।কথা হচ্ছিল এই লিগের শুরু থেকে জুতো সেলাই থেকে চণ্ডীপাঠের কাজে ২৪x৭ নিয়োজিত সিএবির ট্যুর অ্যান্ড ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাসের সঙ্গে। তিনি আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ দিক উল্লেখ করলেন। আইপিএল, ঘরোয়া বা আন্তর্জাতিক ম্যাচ নৈশালোকে হয়। বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগও হচ্ছে নৈশালোকে। এতে সুবিধা ক্রিকেটারদের। কারণ, সিএবির সাদা বলের সব টুর্নামেন্টের সব ম্যাচ নৈশালোকে করা সম্ভব নয়। এই লিগের খেলা দিনেও হচ্ছে, রাতেও হচ্ছে সমান তালে। ফলে নৈশালোকে খেলার অভিজ্ঞতাও বাড়ছে ক্রিকেটারদের। যা সর্বভারতীয় টুর্নামেন্ট খেলার সময় তাঁদের লাভবানই করবে।

জুন ২৫, ২০২৫
রাজ্য

বেহাল দশা রাস্তার, রাস্তায় ধান রোপন করে অবরোধ ও বিক্ষোভ বিজেপির

বাগদার নাটাবেড়িয়া থেকে নদীয়ার আইসমালি পর্যন্ত রাস্তার বেহাল দশা, রাস্তা সংস্কারের দাবিতে পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপন করে পথ অবরোধ করে বিক্ষোভ বিজেপির। অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার না করলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি বিজেপির। যান চলাচল সাময়িক বন্ধ থাকায় ভোগান্তির শিকার সাধারণ মানুষ। প্রশাসনের আশ্বাসে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় অবরোধকারীরা।উত্তর ২৪ পরগনার বাগদার নাটাবেড়িয়া ও নদীয়ার রানাঘাটের মধ্যে সংযোগকারী রাজ্য সড়কের আইসমালী পর্যন্ত প্রায় ৭ কিলোমিটার রাস্তার বেহাল দশা। রাস্তার মাঝে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। যানবাহন চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। বেহাল রাস্তার কারণে প্রায় ঘটছে দুর্ঘটনা। দীর্ঘদিন রাস্তা সংস্কার করা হয়নি। সোমবার বিজেপি রাস্তা সংস্কারের দাবিতে নাটাবেরিয়া আইসমালি রাজ্য সড়কের পাঁচপোতাতে রাস্তায় ধান রোপণ করে অবরোধ শুরু করে। অবরোধকারীদের দাবি অবিলম্বে রাস্তা সংস্কার করতে হবে যতক্ষণ না পর্যন্ত প্রশাসন সংস্কারের আশ্বাস দিচ্ছে অবরোধ ততক্ষন চলবে। বিজেপি নেতা অমৃতলাল বিশ্বাস বলেন, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তার করুণ দশা। মাঝেমধ্যেই দুর্ঘটনা ঘটছে, বিপদ বাড়ছে সাধারণ পথ চলতি মানুষের। বর্তমান সরকার রাস্তা সংস্কারের কোন সদিচ্ছা দেখাচ্ছেন না। অবিলম্বে এই রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি, রাস্তা সংস্কার না হলে আগামীতে সমগ্র বাগদার মানুষ এখানে এসে প্রতিবাদ জানাবে।বিজেপির পথ অবরোধ শুরু হতেই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বাগদা পুলিশ প্রশাসন। অবরোধকারীদের সাথে কথা বলে অবরোধ তোলার চেষ্টা করা হয় পুলিশের পক্ষ থেকে। পরবর্তীতে বাগদা বিডিওর প্রতিনিধি এসে রাস্তা সংস্কারের আশ্বাস দিলে এক ঘন্টা পর অবরোধ তুলে নেয় বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। এই বিষয়ে ভিডিওর প্রতিনিধি হিসেবে আসা প্রশাসনিক কর্তা শুভেন্দু বিশ্বাস বলেন, বিজেপি যে দাবি রেখেছে সেই দাবি ন্যায্য দাবি। আমি বিডিও সাহেবকে ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয়টি জানাবো। কর্তৃপক্ষ যে সিদ্ধান্ত নেবে সেই অনুযায়ী কাজ হবে।

জুন ২৩, ২০২৫
বিদেশ

এয়ার ইন্ডিয়ার বার্মিংহাম-দিল্লি বিমানে বোমা হামলার আশঙ্কা, রিয়াধে জরুরি অবতরণ

বোমা হামলার আশঙ্কায় দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার বিমান রিয়াধে অবতরণ করল। সিএনএন-নিউজ১৮ জানিয়েছে, বার্মিংহাম থেকে দিল্লিগামী এয়ার ইন্ডিয়ার ফ্লাইট AI-114, বোমা হামলার আশঙ্কায় রিয়াধে অবতরণ করেছে। ফ্লাইটটি বার্মিংহাম থেকে রাত ৮:২৬ মিনিটে ছেড়ে দিল্লি যাচ্ছিল।বোয়িং ৭৮৭-৮ ড্রিমলাইনার বিমানটি রিয়াধের কিং খালিদ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেছে। বিমানে থাকা সকল যাত্রীকে বিমান থেকে নামিয়ে হোটেলে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।এর আগে ১৬ জুন, হায়দ্রাবাদগামী লুফথানসার একটি বিমান হঠাৎ করে ইউ-টার্ন নেয় এবং উড়ানের মাঝখানে বোমা হামলার হুমকি পেয়ে ফ্রাঙ্কফুর্টে ফিরে আসে। উড়ানের প্রায় দুই ঘন্টা পরে বিমানটি ফিরে আসে।হায়দ্রাবাদ বিমানবন্দরের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন যে সন্ধ্যা ৬:০১ মিনিটে ইমেলের মাধ্যমে হুমকি আসেয। সেই সময় বিমানটি বুলগেরিয়ার আকাশসীমার উপর দিয়ে যাচ্ছিল।

জুন ২২, ২০২৫
রাজ্য

ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা মুর্শিদাবাদে, দুমড়ে মুচড়ে গেল গাড়ি, মৃত চার

হাওড়া, পুরুলিয়ার পর মুর্শিদাবাদ। এই জেলার কান্দি- বহরমপুর রাজ্য সড়কের ওপরে কান্দি থানার অন্তর্গত গোকর্ণ পাওয়ার হাউস মোড় সংলগ্ন এলাকাতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হল ৪জনের। জানা গিয়েছে, বীরভূমের বেলে এলাকা থেকে স্নান করে ফিরছিলেন ২০ জন পুন্যাথীর একটি দল। রবিবার সকালে ট্রেকার করে স্নান করে বাড়ি ফেরার পথে একটি ডাম্পারের সঙ্গে ধাক্কা মারে এই যাত্রীবাহী ট্রেকারটি। ঘটনার জেরে গাড়ি চালকসহ মৃত্যু হয় মোট চারজনের।এখনও পর্যন্ত একজন পুরুষ ও তিনজন মহিলার মৃত্যু হয়েছে। আহতদের উদ্ধার করে বহরমপুর মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে চিকিৎসার জন্য। মৃত এবং আহতদের সকলের বাড়ি হরিহরপাড়া থানার রুকুনপুর বলে জানা গিয়েছে। আহত ১০ জনকে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজন।

জুন ২২, ২০২৫
রাজ্য

নৌকো ডুবিতে প্রাণ বাঁচল ১৩ জনের, নিখোঁজের তল্লাশিতে ডুবুরি

মুর্শিদাবাদের ধুলিয়ান ফেরিঘাটে মধ্যরাতে নৌকায় পারাপারে ঘটলো বড়সড় বিপত্তি। ১৩ জন প্রাণে বাঁচলেও নিখোঁজ এক শ্রমীক। স্থানীয় সুত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে ১২ জন শ্রমীক ধুলিয়ান কলাবাগান সংলগ্ন ফেরিঘাট আসে মালদা যাওয়ার জন্য। ঘাটের নৌক রাত ৯ টার পর বন্ধ থাকায় দুই জন মৎস্যজীবীকে বলে নদী পারাপার করারা জন্য।জানা গিয়েছে, দুই মৎস্যজীবী রাজি হয়ে যায় ৮০০ টাকার বিনিময়ে। কিন্তু তাঁদের নিজের নৌক না থাকায়, রঞ্জন মন্ডলকে না জানিয়ে তাঁর নৌকা নিয়ে তাঁদের পারাপার করতে যায়। প্রশাসনের নিয়মকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে নৌকা ঘাট বন্ধ থাকায় ছোট নৌকা করে প্রায় ১২ জন শ্রমীক নিয়ে ধুলিয়ান কলাবাগান সংলগ্ন ফেরিঘাট থেকে পারলালপুর ঘাটের উদ্দেশ্যে যাওয়ার সময় হঠাৎ নৌকা উল্টে যায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটি আসে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ, বিএসএফ ও স্থানীয় মাঝিরা। রাতে জীবিত ১৩ জনকে উদ্ধার করা গেলেও নিখোঁজ হয়ে যায় এক ব্যাক্তি। নিখোঁজ ব্যক্তির পরিবার সুত্রে জানা যায়, নিখোঁজ ব্যক্তির নাম জাহাঙ্গীর শেখ। বয়স ৩৫ বছর। বাবার নাম লিয়াকত আলি। বাড়ি মালদা জেলার বৈষ্ণবনগর থানার বাখরাবাদ গ্রাম। সকাল থেকে নিখোঁজ শ্রমিকের পরিবার ও পুলিশ প্রশাসনের উদ্যোগ ডুবুরি টিম গঙ্গায় তল্লাশি চালাতে থাকে।পুলিশ সুত্রে জানা যায়, দুই জন মৎসজীবীকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রাতে ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ ও বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ। সকালে ডুবরির টিম তল্লাশি করছে। ইতিমধ্যে ডুবে যাওয়া নৌকা টিকে উদ্ধার করেছে সামশেরগঞ্জ থানার পুলিশ । পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।

জুন ২১, ২০২৫
রাজ্য

বারাসতে ভয়াবহ আগুন, মুহূর্মুহু বিস্ফোরণের শব্দ, ঘটনাস্থলে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন

ভয়াবহ অগ্নিকান্ড বারাসাত। বিধ্বংসী আগুনে জ্বলছে বামনমুড়ায় প্যাম্পার্স ফ্যাক্টরি। আগুনের ফলে বন্ধ করা হয়েছে বারাসাত টাকি রোডের যান চলাচলও। প্রথমে স্থানীয় আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেও ব্যর্থ। দমকলের ২০টি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।শনিবার সন্ধ্যায় হঠাৎই আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায় বারাসাতের বামুনমুড়া এলাকায়। অগুন নজরে আসতেই প্রথমে স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজ শুরু করেন। ২০টি দমকল ইঞ্জিন পৌঁছালেও এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। গলগল করে ধোঁয়া বের হতে থাকে। আগুন লাগার কারণ এখনও জানা যায়নি। ব্যাপক ক্ষয়খতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।

জুন ২১, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal