গতির কামাল: আইপিএল-এ চমক দিয়ে জাতীয় দলের অপেক্ষায় এই কাশ্মীরি তরুণ
গতবছর আইপিএলে বলের গতি দিয়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের উমরান মালিক। চলতি আইপিএলে প্রতি ম্যাচেই নিজের প্রতিভার পরিচয় দিয়ে চলেছেন। নিয়মিত বোলিং করছেন ঘন্টায় ১৫০ কিমি গতিতে। প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাপিয়ে যাচ্ছেন। ২০২২ আইপিএলে তাঁর দ্রুততম বলটির গতি ছিল ঘন্টায় ১৫৩.১ কিমি। যে বলটি চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে উমরান মালিকের হাত থেকে বেরিয়েছিল। সোমবার গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে তাকেও ছাপিয়ে গেছেন। এদিন তাঁর একটা বলের গতি ছিল ঘন্টায় ১৫৩.৩ কিমি।উমরান মালিকের বলে গতি দেখে মু্গ্ধ ক্রিকেট বিশেষজ্ঞরা। ভারতের প্রাক্তন হেড কোচ রবি শাস্ত্রী আগেই উমরানের বলের গতির প্রশংসা করেছিলেন। এবার জম্মু ও কাশ্মীরের এই তরুণ জোরে বোলারকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক মাইকেল ভন। তিমি মনে করছেন। উমরান মালিক খুব দ্রুতই দেশের হয়ে খেলবেন। এমনকি এই তরুণ জোরে বোলারকে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলার পরামর্শ দিয়েছেন মাইকেল ভন। মাইকেল ভন টুইট করে বলেছেন, উমরান মালিক খুব শীঘ্রই ভারতের হয়ে খেলবেন। আমি যদি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে থাকতাম, তাহলে এই গ্রীষ্মে উমরানকে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে পাঠাতাম। যাতে তার বোলিংয়ের উন্নতিতে সাহায্য করা যায়। এই মুহূর্তে আইপিএলে কমেন্ট্রি করছেন মাইকেল ভন। খুব কাছ থেকে উমরান মালিকের বোলিং দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। ভন মনে করছেন, অদূর ভবিষ্যতে ভারতীয় দলে জায়গা করে নেবেন জম্মু ও কাশ্মীরের এই তরুণ জোরে বোলার। শুধু মাইকেল ভনই নন, এর আগেই রবি শাস্ত্রীর মুখ থেকেও একই কথা শোনা গেছে। ভারতীয় দলে হেড কোচ থাকার সময় উমরান মালিককে খুব কাছ থেকে দেখেছিলেন শাস্ত্রী। সেই সময় উমরান ভারতীয় দলে নেট বোলার হিসেবে ছিলেন। নেটে উমরান মালিকের বোলিং দেশে রবি শাস্ত্রী ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ও নির্বাচকদের পরামর্শ দিয়েছিলেন তাঁকে জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাদেমিতে রাখার। যাতে উমরান নিজের দক্ষতার বিকাশ ঘটাতে পারেন।গুজরাট টাইটান্সের বিরুদ্ধে গতি দিয়ে দারুণ নজর কেড়েছেন উমরান মালিক। তাঁর প্রথম ডেলিভারিটি ছিল একটি বিষাক্ত বাউন্সার। যা হার্দিক পান্ডিয়ার হেলমেটে ছোবল মেরেছিল। গুজরাট টাইটান্সের অধিনায়ক ম্যাচের পরে স্বীকার করেছিলেন যে, উমরানের ওই বাউন্সার তাঁকে তাতিয়ে দিয়েছিল। পরের দুটি বলে অবশ্য বাউন্ডারি মেরেছিলেন হার্দিক। দারুণ গতিতে বোলিং করলেও উমরানের সব থেকে বড় সমস্যা হল ধারাবাহিকতার অভাব। নির্দিষ্ট লেংথে বোলিং করতে পারেন না উমরান মালিক। যার ফলে তিনি অনেক বেশি রান দিয়ে ফেলেন। মালিকের ঈর্ষণীয় গতি ছাড়াও জোরে বোলার হিসেবে অনেক কিছু আছে। তাঁর শরীর আদর্শ ক্রীড়াবিদসুলভ। মসৃণ রান আপ। বোলিং অ্যাকশনও দারুণ। এসবই তাঁর উজ্জ্বল ভবিষ্যতের ইঙ্গিত। এই বছর আইপিএলের মেগা নিলামের আগে তাঁকে ধরে রেখে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ যে ভুল করেনি, প্রমান করেই চলেছেন উমরান মালিক।